বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি বাগেরহাট জেলার সদর উপজিলার খানজাহান নগর গ্রামে অবস্থিত।
ষাটগম্বুজ মসজিদ ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন সুলতান নসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) আমলে খান আল-আজম উলুগ খানজাহান, যিনি সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে খলিফাবাদ রাজ্য গড়ে তোলেন।
ষাটগম্বুজ মসজিদ তার স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত। মসজিদটির বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট লম্বা এবং ১০৪ ফুট চওড়া। মসজিদের দেয়ালগুলো প্রায় ৮.৫ ফুট পুরু। মসজিদের ভেতরে ৬০ টি স্তম্ভ বা পিলার রয়েছে। মসজিদের ছাদে ৭৭ টি ছোট-বড় গম্বুজ রয়েছে, যার জন্য এটি ষাটগম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত।
ষাটগম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক স্থাপনা। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক আকর্ষণ করে।
- Advertisement -
মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি নেই। তাই এটি কে নির্মাণ করেছিলেন বা কোন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
ষাটগম্বুজ মসজিদটি ইট দিয়ে তৈরি।
মসজিদের মূল প্রবেশদ্বারটি পূর্ব দিকে অবস্থিত।
মসজিদের চার কোণে চারটি মিনার রয়েছে।
মসজিদের ভেতরে একটি মিহরাব রয়েছে, যা নামাজ পড়ার সময় ইমামের দিক নির্দেশ করে।
মসজিদের সামনে একটি বিশাল উঠোন রয়েছে, যেখানে একসাথে অনেক লোক নামাজ পড়তে পারে।
ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন:
আপনি যদি বাগেরহাটে যান, তাহলে অবশ্যই ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করুন। মসজিদটি সারা বছর খোলা থাকে। প্রবেশের জন্য একটি ছোট ফি প্রযোজ্য। মসজিদে প্রবেশের সময় পোশাক রক্ষণশীল হওয়া উচিত।
ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনের জন্য সেরা সময় হলো সকাল বা বিকেল।
মসজিদে প্রচুর রোদ থাকে, তাই সানস্ক্রিন, টুপ
For more informations visit our website [Khulna Pedia] .