খান জাহান আলী একজন প্রখ্যাত মুসলিম ধর্ম প্রচারক ও বাংলাদেশের বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক ছিলেন।
তিনি ১৩৬৯ সালে দিল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৪৫৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
“উলুঘ খান” ও “খান-ই-আজম” নামেও পরিচিত ছিলেন।
খান জাহান আলী সুলতান জালালউদ্দিন মোহাম্মদ শাহের আমলে বাংলায় আসেন।
তিনি সুলতানের নির্দেশে দক্ষিণবঙ্গে ইসলাম প্রচার ও শাসন কার্য পরিচালনা করেন।
বাগেরহাটে তিনি ‘খানজাহানাবাদ’ নামক একটি নতুন শহর প্রতিষ্ঠা করেন।
ষাট গম্বুজ মসজিদ, খান মসজিদ, সিঙ্গেল গম্বুজ মসজিদ, হাজারদুয়ারী মসজিদ সহ বহু ঐতিহাসিক স্থাপত্য নির্মাণ করেন।
তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক ও যোদ্ধা ছিলেন।
স্থানীয় জনগণের কাছে তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়।
খানজাহান আলী মাজার ইসলামী স্থাপত্যের একটি অনন্য নিদর্শন।
এটি একটি বর্গাকার ভবন যার চারপাশে চারটি মিনার রয়েছে।
মাজারের ভেতরে খান জাহান আলীর সমাধি অবস্থিত।
মাজারের দেয়ালে Quranic verses, calligraphy, and intricate floral designs খোদাই করা রয়েছে।
খান জাহান আলী বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তার নির্মিত স্থাপত্যগুলি বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে।
খানজাহান আলী মাজার বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার এক অমূল্য নিদর্শন।
- Advertisement -
১৪৫৯ সালে খান জাহান আলী মৃত্যুবরণ করেন।
তার সমাধি ‘খানজাহান আলী মাজার’ নামে পরিচিত একটি বিখ্যাত তীর্থস্থানে পরিণত হয়।
প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমায় তার ওরস অনুষ্ঠিত হয়।
মাজারটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান।
ঐতিহাসিক গ্রন্থ:
“বাংলার ইতিহাস” – ইমতিয়াজ সুলতান
“বাংলার মুসলিম শাসন” – আবদুল করিম
স্থানীয় কিংবদন্তি:
স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে, খান জাহান আলী নিজেই তার মাজার নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিংবদন্তি অনুসারে, মাজার নির্মাণে কোন লোহা বা ইট ব্যবহার করা হয়নি।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন:
মাজারে পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি মাজারের নির্মাণকাল সম্পর্কে ধারণা দেয়।
উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলি কেবলমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।
আরও বিস্তারিত জানার জন্য আপনি উল্লিখিত উৎসগুলি দেখতে পারেন।
খানজাহান আলী মাজার সম্পর্কে আরও জানতে আপনি বাগেরহাট জেলা প্রশাসন বা বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
For more informations visit our website [Khulna Pedia] .