ঘাতক ভাইরাস মারবাগ। এটি অত্যন্ত ভয়ানক এবং প্রাণঘাতি ভাইরাস। ইবোলার মতো দ্রুত সংক্রমক এই ভাইরাস। এটি ঘানাতে শনাক্ত হয়েছে। ঘানা ওয়েস্ট আফ্রিকার একটি দেশ। বিবিসির খবর অনুযায়ী ঘানায় এই মারণরোগ মারবাগে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে দুইজন মৃত্যুবরণ করেছে। ঘানার আশান্তি নামক অঞ্চলের একটি হাসপাতালে ঐ দু’জন মারা গেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। ঘানা সরকার দ্রুত এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনাগুলি পজিটিভ ছিল। সেনেগালের একটি ল্যাবে যাচাই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৮জনকে এই ভাইরাস সন্দেহে কোয়ারেন্টাইন-এ রাখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘানা সরকারের স্বাস্থ্য-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মারবার্গ ভাইরাসের জন্য এখনও কোন প্রকার এন্টিডট বা কোন প্রকার এন্টিভাইরাস আবিষ্কৃত হয়নি। তবে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে এবং কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ লক্ষণগুলি দেখা দেওয়ার সাথে সাথে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এই মারবার্গ ভাইরাসটি যে বাদুড় ফল খায় সেইসব বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। আপাতত এর কিছু লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে যা হল, রক্ত বমি, মাথা ব্যাথা, জ্বর, পেশীতে ব্যথা, রক্তপাত ইত্যাদি। তাছাড়া এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে রোগী মারাত্মক অসুস্থ্যতায় ভোগে। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ১৯৬৭ সালে জার্মানীতে এই মারবার্গ প্রথমবার দেখা দেয়। সেখানে অন্তত ৭ (সাত) জন মারা গিয়েছিলো। ২০০৫ সালে অ্যাঙ্গোলায় ২০০ জনেরও বেশী মানুষ মারা গিয়েছিলো এই ভাইরাসের আক্রমণে।