স্কুল ছুটির পর মুক্তি বাড়িতে যাওয়ার পথে প্রেমনগর ছালিপুরা ঈদগাহ মাঠের পাশে নদীর পারে এই ঘটনা ঘটে।
এই জঘণ্যতম খুন করেছে ছালিপুরা গ্রামের কাউসার মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মুক্তিকে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে যে, মুক্তি রানী বর্মণ নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের। মুক্তি রাণী বর্মণ নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। সে প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির কৃতি ছাত্রী এবং বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের ইয়্যূথ গ্রুপের সদস্যা। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে একই গ্রামের বখাটে কাউসার মিয়া প্রায়শই মুক্তি বর্মণকে উত্ত্যক্ত করত তাকে। প্রেমে সারা না দেওয়ায় আজ গতকাল বেলা ২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে কাউসার তার কয়েক সহযোগীকে নিয়ে মুক্তির পথ আটকায়। একপর্যায়ে সে ধারালো দাঁ দিয়ে মুক্তিকে এলোপাথারী আঘাত করে। সাথে তার সহপাঠী কয়েকজন ছিল। কিন্তু খুনির হাতে ধারালো অস্ত্রের ভয়ে তারা দুরে সরে যায়। খুন হওয়ার কিছু দুরত্বে একজন লোক কাজ করে ফিরছিলো। তিনি এসে পড়তেই খুনি পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দ্রুত পাঠাতে বলে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিকেল ৪টার দিকে মুক্তি রাণী বর্মণ মারা যায়।
বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক সুরজিৎ কুমার ভৌমিক এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনায় অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক আগামীকাল সকাল (০৪-০৫-২০২৩ খ্রি.) ১১.০০ ঘটিকা সময়ে প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়, বারহাট্টা, নেত্রকোনা হতে বারহাট্টা উপজেলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি করা হবে। এতে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সকল ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান করা হয়েছে।
শুরু করার স্থান : প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়।
- Advertisement -
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা জানান, নিহত মুক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। খুনি সেই বখাটে কাউসার এখনো পলাতক আছে।