ফিজিক্যাল অ্যান্ড মেন্টাল
সমস্যাঃ মেন্টাল ভাইয়া বুশ আংকেলকে তো আপনি চেনেন তার মেয়ে একটা আছে না। ওই যে লরা বুশ, সে কয়েক দিন ধরে আমাকে খুব বিরক্ত করছে। মোবাইলে শুধু মিসকল দেয়। কল দেয় না, আমি কল দিলে তাদের খামার বাড়িতে যেতে বলে। আমি না করলে অস্ত্রের ভয় দেখায়। এখন আমি কী করতে পারি। এই চিন্তôায় আমার জীবন বিনাশ হওয়ার পথে।
সমাধানঃ আপনি যে ভালো ধোয়ামোছা জানেন এটা নিশ্চয় সে কোনো না কোনোভাবে জেনে ফেলেছে। তো জেনে যখন ফেলেছে এখন জীবনকে বিনাশ না করে সেখানে যাওয়াই ভালো। শুনেছি খামার বাড়িটা একটু বেশিই অপরিষ্কার হয়ে গেছে।
সমস্যাঃ আজকাল কারণে-অকারণে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। মেজাজ এতই খারাপ হয় যে আমি
- Advertisement -
সামনে যা পাই তাই ভাঙচুর করি। ঘরের দামিদামি জিনিসগুলো ভেঙে সাবাড় করে দিয়েছি। প্রতিদিন এভাবে
মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার ফলে আমি বেশ সমস্যায় আছি। কী যে করি এই বদ মেজাজটা নিয়ে?
সমাধানঃ আপনার যখন মেজাজ বিগড়ে যাবে তখন আপনি ঘরে না থেকে সোজা দৌড়ে গিয়ে রাজপথে
উঠবেন। সামনে গাড়ি-ঘোড়া যা পাবেন তা ভাঙুন আর মুখে স্স্নোগান বলুন, দ্রব্যমূল্যের পাগলা দাম,
কমাতে হবে কমিয়ে দাও। তারপর পুলিশের দাবড়ানি খেয়ে বদ মেজাজটা কোথায় যে যাবে টেরই পাবেন না।
সমস্যাঃ আমি খুবিই বুদ্ধিমতী একজন মেয়ে। এতটায় বুদ্ধিমতী যে কেউ কোনো সমস্যায় পড়লেই অন্য কোথাও না গিয়ে সোজা চলে আসে আমার কাছে। আর আমিও সবাইকে বুদ্ধি দিয়ে আমার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেই। তো সেদিন একজন এসে আমাকে বলল, তুমি কিভাবে বুদ্ধিমতী হলে এ ব্যাপারে আমাকে বুদ্ধি দাও, আমিও বুদ্ধিমতী হবো। কিন্তু ভাইয়া কিভাবে যে সে বুদ্ধিমতী হবে এ বিষয়ে তো বুদ্ধি দিতে পারছি না। এখন কী করি বলনু তো?
সমাধানঃ এখন আপনি যা করবেন তাহলো আপনি যেমন খুব বুদ্ধিমতী হওয়া সত্ত্বেও আমার কাছে বুদ্ধি চাচ্ছেন তেমনি যারা আপনার কাছে বুদ্ধি চাইবে তাদেরও মেন্টাল থেরাপির শরণাপনড়ব করিয়ে দিতে
পারে। কারণ দেশে একমাত্র মেন্টাল থেরাপিই গ্যারান্টি সহকারে বুদ্ধিমতী বানিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করে!
সমস্যাঃ হ্যালো মেন্টাল ভাই নিকি? ও আইচ্ছা। আনেড়ব বালা আছেন নি। আলস্নার রহমতে আঁই বালা আছি। এলা এগ্গা বেজালো হোড়ি গেছি। আম্মারে কই আঁরে এগ্গা মোবাইল যন্ত্র কিনি দেনের লাই, আঁই প্রেম
কইত্তাম। আম্মা কয় রাক অন নো আরো ক দিন যাক। দেছ না নি বেক কিছুর কেইনড়বা দাম। টেয়া হইসা আতো আইলে হরে কিনি দিউম। আঁর তো সহ্য অয় না, কুন সোমে কিনি দিব আর আঁই মোবাইল যন্ত্র কান লাগাই প্রেম করিউম। আঁরে কন আঁই অন কিত্তাম?
সমাধানঃ আঁইও ভালা আছি। তো আনেড়ব অন্ এক কাম কইত্তেন হারেন, হেইটা ওইলো আনেড়ব মোবাইলের লাই বই না থাই অগ্রিম ভিত্তিতে প্রেম শুরম্ন করি দেন। যেইক্তে মোবাইল অইবো হেইক্তে দরকার অয় প্রেমরে ভাঙি আবার মোবাইলে জোড়া তালি লাগাইবেন।
বোকা
* কেউ মিসকল দিলে আপনি সাথে সাথে কলব্যাক করেন।
* মশা কামড়ালে আপনিও মশাকে কামড়াতে চান।
* ছ্যাঁকা গিফট করার পরও আপনি প্রেমিকার পিছু হাঁটেন।
* বিয়েবাড়িতে উপহার দিয়েও আপনি না খেয়ে চলে আসেন।
* ছাতা ভিজে যাওয়ার ভয়ে বৃষ্টিতে আপনি ছাতা মাথায় দেন না।
* জুতার তলা ড়্গয় হবে বলে জুতা আপনি মাথায় করে পথ চলেন।
* থেরাপিতে আপনি অন্যের নামে লেখা পাঠান।
মানিব্যাগ
* ব্যাগে ভিজিটিং কার্ড রাখতে পারেন
* টাকাও রাখতে পারেন
* প্রেমিকার চিরকূট রাখতে পারেন
* মোবাইলের সিমকার্ড রাখতে পারেন
* মাঝে মাঝে টাকা শূন্য থাকতে পারে
* এই সব মিলিয়ে আপনি যদি
মানিব্যাগের মালিক হন তবে আপনি ভাগ্যবান। আর দয়া করে মানিব্যাগটা আছে কি না দেখুন তো
কিপ্টুস
প্রথম বন্ধুঃ দোস্তô তোর বিয়ের দিন- তারিখ ঠিক হয়ে গেছে। অথচ তুই আমাকে দাওয়াত দিসনি কেন?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ বন্ধুরে মনে কষ্ট নিয়ে লাভ নেই। দাওয়াত দেবো কিভাবে, আমার আব্বায় মানুষকে যেভাবে
দাওয়াত দিতেছে তাতে মনে হয় আমাকেও নেবে কি না সন্দেহ আছে।
গরম থেকে বাঁচার টিপস
* রাস্তôায় বের হওয়ার আগে ভেজা জামাকাপড় পরিধান করম্নন।
* ডেটিং থেকে এক শ’ এক হাত দূরে থাকুন।
* ঘামে শরীর ভিজে গেলে রোদে শুকিয়ে নিন।
* দৈনিক আট-দশ বার গোসল করম্নন।
বয়স্ক হওয়ার সুবিধা
* বয়স্কদের কারো জন্য খরচ করতে হয় না সবাই তাদের জন্য খরচ করে।
* বয়স্করা সম্মানিত, সমাজের সব সালিশ নালিশ তাদের কাছে আসে
* ছেলে হোক মেয়ে হোক বয়স্ক দেখলে সবাই সিটে বসতে দেয়।
* বয়স্করা বেশি বেশি সালাম পায়।
* তাদের নিজেদের জামাকাপড় ধুতে হয় না।
* ঘন ঘন শেভ হওয়ার ঝামেলা তাদের একদম নেই।
ভালোবাসার পূর্ণ সংজ্ঞা
ভালোবাসার সংজ্ঞা জানতে আমরা বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে গিয়েছিলাম। চলুন দেখি তারা কে কী বলে
ছাত্রঃ ভালোবাসার পূর্ণ অর্থ হলো
ভা- ভালো-মন্দ চিন্তা না করে
লো- লোকলজ্জা উপেখ্খা করে
বা- মা-বাবার মুখে চুনকালি দিয়ে
সা- সাগরে ঝাঁপ দেয়া।
গণিত শিড়্গকঃ যার দৈর্ঘø, প্রস্থ ও বেধ নেই শুধু গভীরতা আছে তাকেই ভালোবাসা বলে।
ডাক্তারঃ ভালোবাসা এমন এক রোগের নাম, যা ঘুম নষ্ট করে, ক্ষুধা কমায়, চিন্তা বৃদ্ধি করে।
পুলিশঃ ভালোবাসা এমন এক জেলখানা যেখানে হৃদয় বন্দীদের খেলা চলে।
কবিঃ ভালোবাসা মানে উদাস হয়ে যাওয়া।
রাজনীতিবিদঃ ভালোবাসা হলো পার্কে, গাছতলায়, চাইনিজে সেমিনার আর বক্তৃতা।
ভিখারীঃ ভালোবাসা হলো একজনের মন অন্যজনকে ভিড়্গে দেয়া, অন্যজনের মন ভিড়্গে নেয়া।
কুলিঃ ভালোবাসা মানে অপরের সুখ-দুঃখ আঁটি বেঁধে বহন করা।
মাঝিঃ ভালোবাসা হলো মান-অভিমান এবং কিছু আবেগের দাঁড় টানা।
বিক্রেতা: ভালোবাসা হচ্ছে হৃদয়ের বেচাকেনা।
বাড়িওয়ালাঃ ভালোবাসা মানে দুই বেড, বাথ, ড্রইং আর একটা সুন্দর বারান্দা।
ব্যর্থ প্রেমিকঃ ভালোবাসা বলে নেই তো কিছু, ভালোবাসা মানে ফাঁকি।
কার কী কাজ
রাজনীতিবিদদেরঃ রাজনীতিবিদদের কাজের কোনো কমতি নেই। তাদের অনেকে সব সময় কুকাজে নিয়োজিত থাকতে পছন্দ করেন। আর তাদের সবচেয়ে প্রধান কাজ হলো ইচ্ছামতো চাপাবাজি করা, মিথ্যা প্রতিশ্রম্নতি দেয়া ও গলাবাজি করা। ভোটের আগে জনগণকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা। ভোটের পর জনগণকে আইক্কাওয়ালা বাঁশ উপহার দেয়া।
প্রেমিকাদেরঃ ইনারা সবাই যার যার প্রেমের ড়্গেত্রে নিজেদের কর্মঠ হিসেবে গড়ে তোলায় অতি পটু। প্রেমিকদের সামনে নিজেদের এমনভাবে জাহির করে সেকেন্ডেই মনের তেরোটা বাজিয়ে দেয়। খুব সহজেই প্রেমিকদের নাক ছিদ্র করে প্রেমের দড়ি পরিয়ে পুতুল নাচ নাচায়; অবশেষে ছ্যাঁকামাইসিন দিয়ে দেয়।
ছ্যাঁকাদেরঃ এদের জন্য খুবই কষ্ট লাগে মনে। প্রেমিকারা যখন ছলে-বলে গলায় প্রেমের ছ্যাঁকা রশিটি গলায় পরিয়ে দেয় তখন যেন তারা সবাই কাজে পটু হয়ে যায়। কেউ মুখে খোচা খোচা দাড়ি রেখে দেবদাস সাজে। কেউ ট্র্যাজেডি নায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়ে বোতল হাতে নিয়ে বসে থাকে এবং গলা ছেড়ে গায়- আমার বলার কিছুই ছিল না, না গো।
পরিচালকদেরঃ হে হে এদের আবার কাজের কোনো কমতি কোনো কাজেই থাকে না। একটি ছবি হিট করে উপস্থাপন করার জন্য এমন কিছু নাই যে তারা করে না। এই যেমন বিশাল দেহের অধিকারিনীদের নায়িকা হিসেবে দর্শকদের উপহার দেয়া। ভিলেন কর্তৃক নায়িকাদের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলানোর সময় নায়ক কর্তৃক উদ্ধার, মুখ দিয়ে বুলেটের মতো অবিরাম গালি দেয়া এবং মারামারির শেষে বাংলার মহান পুলিশদের পর্দায় হাজির করানো।
সুশীল সমাজদেরঃ এনারা আবার অলটাইম ইজি কাজে বিজি থাকেন। সামান্য বিষয় নিয়ে এরা এমন লাফালাফি, কুদন-কুদনি করেন মনে হয় যেন এরা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নাগরিক। এরা সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্যে রূপ দেয়ায় এমন পটু যেন উনাদেরই যত মায়া দেশের জন্য, বাকি সবাই ষষ্ঠী। ওনারা প্রায় সারা বছরই দেশের বাইরে কাটান, দেশে এসে দেশের জন্য মায়াকানড়বা জুড়ে দেন।